রাতের অন্ধকারে গোপনে মৃতদেহ সৎকারের অভিযোগকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ বাঁকুড়া , প্রতিবাদে সোচ্চার সিপিএম

15th April 2020 বাঁকুড়া
রাতের অন্ধকারে গোপনে মৃতদেহ সৎকারের অভিযোগকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ বাঁকুড়া , প্রতিবাদে সোচ্চার সিপিএম


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বাঁকুড়া ) : বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিভার ওয়ার্ডে মৃত রোগীর শবদাহকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা শহরের লক্ষ্যাতড়া মহা শ্মশানে। স্থানীয় মানুষ জন এই মৃতদেহ করোনা আক্রান্ত এমন আশঙ্কা থেকেই জমায়েত হয়ে মৃতদেহ দাহ করার প্রতিবাদে নামেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পোঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষজন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রৌঢ়াকে প্রথমে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাকে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকার কারণে প্রৌঢ়াকে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। কিন্তু সেখানে থেকে আবার তাকে ফিভার ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। এর পরই মঙ্গলবার ভোর রাতে ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়। এই প্রসঙ্গে পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানা গিয়েছে যে হৃদরোগ জনিত সমস্যার কারনে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ার। কিন্তু তা সত্বেও পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি মৃতদেহ। স্থানীয় পুলিশ, দমকল ও স্বাস্থ্যকর্মী সাহায্যে মৃতদেহ দাহ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। 
পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষজন। বারে,বারে মানুষের জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে হটিয়ে দেয় পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। প্রসঙ্গত এর আগে একই ভাবে জোড়া মৃতদেহ পোড়ানোর সময় থেকেই মানুষের ক্ষোভ ছিল। আজ ফের একই ভাবে মৃতদেহ দাহ করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদের সামিল হন। দীর্ঘক্ষন ধরে প্রতিবাদ চলার পরে বাঁকুড়ার লোখাতোড়া সংলগ্ন এলাকার মানুষজন শশান ঘাটে এসে বিক্ষোভ দেখায় পুলিশের সামনে বেশ কয়েক ঘন্টা বিক্ষোভের পরে পুলিশ  এবং মৃতদেহ সৎকার করার কাজ শুরু করে এতে এলাকার মানুষ ক্ষুব্দ হয়ে পড়ে এবং তারা বলতে থাকে  ও এই শ্মশানে কেন মৃতদেহ সৎকার করতে হবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মৃতদেহ এই চুল্লিতে পোড়াতে দেওয়া যাবে না ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।